Helpline : +88 01754 668866

নিদ্রাহীনতা কাটাতে পরম বন্ধু হতে পারে মধু

শরীরের সুস্থতার জন্য একজন মানুষের প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা ঘুমানোর প্রয়োজন; এমন দাবিই করেন বিষেজ্ঞরা। তবে বাস্তবতা বলছে, বর্তমান সময়ের অধিকাংশ মানুষ, বিশেষ করে অল্পবয়সীরা পর্যাপ্ত ঘুম ঘুমান না। মোবাইল কালচার, ফেসবুক, অধিক রাত পর্যন্ত পড়ালেখা ইত্যাদি নানা কারণে নিদ্রাহীনতা বা ইনসমোনিয়ার সমস্যা তৈরি করতে পারে এসব অল্পবয়সী মানুষের মধ্যে। আবার কাজের চাপ, দুশ্চিন্তা ইত্যাদি কারণে এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন পূর্ণ বয়স্ক মানুষেরা।

নিদ্রাহীনতা নিঃসন্দেহে আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে একজন মানুষের জন্য। কারণ এতে করে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। আবার এর প্রভাব পড়তে পারে জীবনের ভবিষ্যত দিনগুলিতেও। তবে এই নিদ্রাহীনতা নামক রোগ থেকে ‍মুক্তি পাওয়ার পথ্য আমাদের হাতের নাগালেই রয়েছে। কোন ল্যাবরেটরি নই, এই পথ্য আমাদের যোগান দেয় প্রকৃতি। পথ্যটি হলো মধু।

বহুকাল আগে থেকেই নিদ্রাহীনতা রোধে মধুর ব্যবহার করে আসছে মানুষ। এই আধুনিক যুগেও যা একটু কমেনি। ইনসমোনিয়া বা নিদ্রাহীনতার সমস্যা থাকলে তাই জেনে নিন মধুর তিনটি ব্যবহারবিধি।

১। রাতে শুতে যাওয়ার আগে ১ কাপ গরম দুধে ১ চা চামচ কাঁচা মধু মিশিয়ে খান।

২। যদি দুধ খেতে না চান তা হলে ২ চা-চামচ অ্যাপল সিডার ভিনিগার ও এক চা চামচ মধু মিশিয়ে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে খেয়ে নিন।

৩। একটা ছোট কাচের জারে ৫ টেবল চামচ কাঁচা, অরগ্যানিক মধু ও ১ চা চামচ গোলাপি সামুদ্রিক নুন ভাল করে মিশিয়ে রেখে দিন। রাতে শুতে যাওয়ার আগে সামান্য পরিমাণ জিভের নীচে রাখুন। দারুণ ঘুম হবে।

মধু কিভাবে নিদ্রাহীনতায় কাজ করে?

বিশ্বজুড়ে নিদ্রাহীনতার ক্ষেত্রে যে কোনো ঘরোয়া টোটকায় মিষ্টি ও নোনতা এই দুটো স্বাদের মিশ্রণ দেখতে পাওয়া যায়। কারণ, এই দু’টি স্বাদ এক সঙ্গে পেশীর প্রসারণে সাহায্য করে। মধু সিরোটনিন উৎপন্ন করে। অন্যদিকে, সামুদ্রিক লবণ মেলাটোনিনের ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। ফলে এই দুটি উপাদান একসঙ্গে হলে পেশীর সম্প্রসারণ ঘটায় এবং আমাদের প্রশান্তির ঘুমে ডুব দিতে সাহায্য করে।

সূত্র : দ্য ডেইলি হেলথ পোস্ট

Free shipping

On all orders above Tk. 10,000

Easy 7 days returns

7 days money back guarantee

Warranty

Offered in the country of usage

100% Secure Checkout

bKash / MasterCard / Visa