ঠান্ডা পানীয় হিসেবে কোকাকোলার জুড়ি মেলা ভার। বিশ্বজুড়ে এই পানীয়র খ্যাতি রয়েছে। ছেলে-বুড়ো সবারই প্রিয় পানীয় এটি। তবে কেবল পানীয় হিসেবেই যে কোকাকোলার কদর রয়েছে তেমনটি কিন্তু নয়; কোকাকোলায় এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা এই পানীয়টিকে বহু ধরনের কাজের উপযোগী করে তোলে।
এই প্রতিবেদনে আপনি জেনে নিতে পারেন কোকাকোলার সেইসব ব্যবহারের কথা-
১. জামাকাপড়ে চিপকে থাকা চিউয়িং গাম বা বাবল গাম তোলা:
কাপড়জামায় চিউয়িং গাম বা বাবল গাম আটকে গিয়েছে? অল্প একটু কোকাকোলা ফেলে দিন আটকে থাকা চিউয়িং গাম অথবা বাবল গামের উপরে। একটু বাদে গামটি সহজেই ছেড়ে আসবে জামা থেকে।
২. পোকামাকড়ের কামড়ের জ্বালা কমানো: পোকামাকড়ের কামড়ের ফলে শরীরের কোনো অংশে যদি জ্বালা করে, একটি তুলো কোকাকোলায় ভিজিয়ে নিন। তার পর আক্রান্ত অংশে হালকা করে বুলিয়ে দিন তুলোটি। দেখবেন, জ্বালা কমে গিয়েছে।
৩. রুপার অলঙ্কারকে চকচকে করে তোলা:
বাড়িতে যদি রুপার পুরনো অলঙ্কার বা কয়েন থেকে থাকে, তা হলে একটি পাত্রে কোকাকোলা ঢেলে তাতে সেই অলঙ্কার বা কয়েন কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রাখুন। একটু বাদে সেটিকে তুলে নিন পাত্র থেকে এবং শুকনো কাপড়ে মুছে নিন। দেখবেন, রুপার জিনিসটি নতুনের মতো চকচক করছে।
৪. রান্নাঘরের তেলচিটে পরিষ্কার:
রান্নাঘরের দেওয়ালে বা মেঝেয় অনেক সময়ে রান্নার তেলচিটে লেগে হলদে ছোপ পড়ে যায়। দাগ ধরা অংশে একটু কোকাকোলা ঢেলে শুকনো কাপড়ে আলতোভাবে মুছলেই দাগ উঠে যাবে।
৫. জামাকাপড় থেকে তেল তোলা:
কোনো পোশাকে ভুলবশত তেল পড়ে গিয়েছে? চিন্তা নেই, ওই অংশে একটু কোকাকোলা ঢেলে শুকনো কাপড় দিয়ে ঘষে দিন। দেখবেন, তৈলাক্ত ভাব চলে গিয়েছে।
৬. মেঝের দাগ তোলা:
মেঝেয় কোনো পুরনো দাগ থাকলে এর উপর একটু কোকাকোলা ঢেলে ভিজে ন্যাকড়া দিয়ে মুছে দিন। দাগ উঠে যাবে সঙ্গে সঙ্গে।
৭. কাচ পরিষ্কার:
কাচের টেবিল-টপ অথবা দরজা-জানলার কাচের উপর ছিটিয়ে দিন একটু কোকাকোলা। এরপর শুকনো কাপড় দিয়ে মুছলেই একেবারে ঝকঝকে পরিষ্কার হয়ে যাবে কাচ।
৮. টয়লেট পরিষ্কার:
বাথরুমের কমোড, বেসিন বা মেঝেয় হলুদ দাগ ধরে গিয়েছে? চিন্তা নেই। দাগ ধরা অংশে একটু কোকাকোলা ফেলে কিছু ক্ষণ রেখে দিন। এরপর ব্রাশে করে ঘষে দিলেই দেখবেন, টয়লেট একদম সাফ।